প্রেসিডেন্টের দুবাই সংযোগ নিয়ে জনমনে নানা কৌতূহল রয়েছে।
প্রেসিডেন্ট মো. সাহাবুদ্দিনের মালয়েশিয়ায় সেকেন্ড হোম, দুবাইতে ব্যবসায়িক পার্টনারশিপ এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতে রেসিডেন্সি থাকার খবরে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিষয়টি নিয়ে ব্যাপক আলোচনা চলছে, বিশেষ করে প্রেসিডেন্টের দুবাই কানেকশন নিয়ে মানুষের মধ্যে কৌতূহল দেখা দিয়েছে। মানবজমিনের অনুসন্ধান অনুযায়ী, গত মার্চে প্রেসিডেন্ট সাহাবুদ্দিন সর্বশেষ দুবাই সফর করেন, যেখানে তিনি পরিবারসহ দুই রাত কাটান এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিভিন্ন স্থানে ভ্রমণ করেন।
ff f
কূটনৈতিক সূত্রগুলো বলছে, প্রেসিডেন্টের বিদেশে সম্পত্তি থাকার বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার পর সরকারের বিভিন্ন সংস্থা বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে। সরকারের একজন উচ্চপদস্থ উপদেষ্টা জানিয়েছেন, এই বিষয়টি খুবই সংবেদনশীল এবং যথাযথ কর্তৃপক্ষ এটি দেখছে। যদিও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই মুহূর্তে সরাসরি যুক্ত নয়, ভবিষ্যতে তাদের অন্তর্ভুক্ত করা হতে পারে।
সংযুক্ত আরব আমিরাতে প্রেসিডেন্টের ছেলে আরশাদ আদনান রনির ব্যবসায়িক সম্পর্কের মাধ্যমেই প্রেসিডেন্টের ওই দেশে বিনিয়োগ এবং রেসিডেন্সি অনুমোদন পেয়েছেন বলে জানা যায়। প্রেসিডেন্ট সাহাবুদ্দিনের দুবাইতে থাকাকালীন এই সফর নিয়ে কোনো মিডিয়ায় খবর প্রচারিত হয়নি, তবে রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা বাসস প্রেসিডেন্টের লন্ডন যাত্রার খবর প্রচার করেছিল।
ff f
মালয়েশিয়ায় প্রেসিডেন্টের সেকেন্ড হোম থাকার বিষয়ে কুয়ালালামপুরস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশনের কাছে কোনো তথ্য নেই বলে জানানো হয়েছে। একটি সূত্র বলছে, এসব সম্পত্তি বা বিনিয়োগ সাধারণত বিশ্বস্ত লোকদের মাধ্যমে পরিচালিত হয়, এবং তারা দূতাবাসের সঙ্গে যোগাযোগ এড়িয়ে চলেন।
সম্প্রতি একটি ফেসবুক পোস্ট এবং অনলাইন রিপোর্টের মাধ্যমে প্রেসিডেন্ট মো. সাহাবুদ্দিনের বিদেশে সম্পত্তি নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে আলোচনা শুরু হয়। রিপোর্টে বলা হয়, প্রেসিডেন্ট হওয়ার আগে এসব বিনিয়োগ করা হলেও প্রশ্ন উঠছে, বিদেশে বিনিয়োগের জন্য কোনো অনুমতি গ্রহণ করা হয়েছিল কিনা, এবং এটি বৈধ কিনা। বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট বিভাগের বরাতে জানা যায়, ব্যাংক কখনোই প্রেসিডেন্ট সাহাবুদ্দিনকে এত বিপুল পরিমাণ অর্থ বিদেশে নেয়ার অনুমতি দেয়নি।
ff f
এ বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন মন্তব্য এড়িয়ে গেছেন, উল্লেখ করে বলেছেন যে, এটি প্রেসিডেন্টের ব্যক্তিগত বিষয় এবং যথাযথ কর্তৃপক্ষ এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নেবে।

0 Comments