এস আলমের করা মামলায় ইসলামী ব্যাংকের চার কর্মকর্তাকে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে।
২০২২ সালের ২৪ নভেম্বর একটি জাতীয় দৈনিকে ‘ইসলামী ব্যাংকে ভয়ঙ্কর নভেম্বর’ শিরোনামে একটি বড় অংকের ঋণ কেলেঙ্কারির খবর প্রকাশিত হয়। এরপর এস আলম গ্রুপের করা মামলায় ইসলামী ব্যাংকের চার কর্মকর্তাকে আসামি করা হয়। অভিযোগ উঠেছে যে, এই মামলায় ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা কার্যালয়ে (ডিবি) ডেকে নিয়ে তাদের উপর অমানবিক নির্যাতন চালানো হয়। পরে নির্যাতনের পর তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়। নির্যাতনের শিকার এক কর্মকর্তা জানান যে, এতদিন তিনি ভয়ে মুখ খোলার সাহস পাননি। তবে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের পর শেখ হাসিনা সরকারের পতনের ফলে ইসলামী ব্যাংক দখলমুক্ত হওয়ার পর তিনি ন্যায়বিচার ও তার ওপর চালানো নির্যাতনের জন্য দোষীদের শাস্তি দাবি করেছেন।
প্রকাশিত প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয় যে, এস আলম গ্রুপ, নাবিল গ্রুপ এবং এস আলমের অন্যান্য সহযোগী প্রতিষ্ঠানগুলো ইসলামী ব্যাংক, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক, ইউনিয়ন ব্যাংক এবং গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক থেকে কীভাবে এবং কত পরিমাণ অর্থ উত্তোলন করেছে, তার বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরা হয়। এরপর এস আলম গ্রুপের বিরুদ্ধে অভিযোগকারীদের চিহ্নিত করার জন্য ব্যাপক প্রচেষ্টা চালানো হয়। এস আলম গ্রুপের পক্ষে জেনারেল ম্যানেজার আব্দুল কুদ্দুস গুলশান থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
ব্যাংক সূত্রে জানা যায়, ২০২৩ সালের ২০ জানুয়ারি ইসলামী ব্যাংকের সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট সাইয়্যেদ উল্লাহ, কামরুল বারী ইমামী, মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান এবং শহীদুল্লাহ মজুমদারকে ঢাকার মিন্টো রোডস্থ ডিবি কার্যালয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকে নেওয়া হয়। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয় যে, তারা এস আলম গ্রুপের ঋণ জালিয়াতির তথ্য গণমাধ্যমে ফাঁস করেছেন এবং সরকারের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালিয়েছেন। এরপর দিনব্যাপী চলা জিজ্ঞাসাবাদের সময় তাদের উপর অমানুষিক নির্যাতন চালানো হয়।
fff
এছাড়া, তদন্তে জানা যায় যে, ২০১৭ সালে এস আলম গ্রুপ ইসলামী ব্যাংক দখল করার পর ব্যাংকের কয়েকজন সিনিয়র কর্মকর্তাকে চাকরিচ্যুত করা হয়। নির্যাতনের পর একজন কর্মকর্তাকে মারাত্মক অসুস্থ অবস্থায় তার পরিবারকে সোপর্দ করা হয়। অপর তিন কর্মকর্তাকে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয় এবং পরবর্তীতে তাদের চাকরিচ্যুত করা হয়। তবে বৈষম্যহীন ছাত্র আন্দোলনের পর তারা আবারও ইসলামী ব্যাংকের চাকরি ফিরে পান।
.jpeg)
0 Comments