রুহুল আমীন ‘চট করে’ বায়তুল মোকাররমের মিম্বার দখলে দিতে চেয়েছেন

রুহুল আমীন ‘চট করে’ বায়তুল মোকাররমের মিম্বার দখলে দিতে চেয়েছেন


জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে মুসল্লিদের ওপর হামলার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন জামায়াতে ইসলামী কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সেক্রেটারি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ।

তিনি বলেন, "মুফতি রুহুল আমীন ও তার সহযোগী হামলাকারীদের দ্রুত আটক করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছি।" তিনি আরও বলেন, "রুহুল আমীনের নেত্রী, খুনি হাসিনা, 'চট করে' দেশে ফিরে আসার কথা বলেছেন, আর রুহুল আমীনও 'চট করে' মসজিদের মিম্বার দখল করতে চেয়েছেন।"

fff

শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) রাতে রাজধানীর সূত্রাপুর দক্ষিণ থানার উদ্যোগে অনুষ্ঠিত 'প্রত্যাশিত বাংলাদেশ ও আমাদের করণীয়' শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের পর থেকে অনুপস্থিত থাকা জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের খতিব রুহুল আমীনের ফিরে আসার ঘটনায় খতিবের সমর্থক ও মুসল্লিদের মধ্যে সংঘর্ষের সৃষ্টি হয়। সংঘর্ষ এবং উত্তেজনাপূর্ণ পরিস্থিতির মধ্যেই শুক্রবার জুমার নামাজ আদায় করেন মুসল্লিরা।


মসজিদের ভেতরে এমন ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে ড. শফিকুল ইসলাম বলেন, "আওয়ামী লীগ শুধু মন্দির বা গির্জা ভাঙে না, মসজিদেও আঘাত হানে। আওয়ামী লীগের দালাল রুহুল আমীনকে শেখ হাসিনা বায়তুল মোকাররমের খতিব হিসেবে নিয়োগ দিয়েছিলেন। কিন্তু শেখ হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার পর রুহুল আমীনও পালিয়ে গিয়ে গোপালগঞ্জে আশ্রয় নেন এবং এরপর আর ইমামতি করতে আসেননি। ইসলামিক ফাউন্ডেশন তাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছিল, কিন্তু তিনি কোনো জবাব দেননি। ফলে ফাউন্ডেশন নতুন খতিব নিয়োগ দেয় এবং রুহুল আমীনকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। কিন্তু শুক্রবার তিনি গোপালগঞ্জের একদল সন্ত্রাসী নিয়ে এসে মিম্বার দখল করে নিজেকে এখনো খতিব দাবি করতে থাকেন। মুসল্লিরা প্রতিবাদ করলে, তার নির্দেশে সহযোগী সন্ত্রাসীরা মসজিদের ভেতর মুসল্লিদের রক্তাক্ত করে।"


তিনি আরও বলেন, "রুহুল আমীনের নেত্রী খুনি শেখ হাসিনা 'চট করে' দেশে ফিরে আসার কথা বলেছেন, আর রুহুল আমীনও 'চট করে' মিম্বার দখলে নিতে চেয়েছেন।"

f ff

ড. শফিকুল ইসলাম আওয়ামী লীগের সমালোচনা করে বলেন, "আওয়ামী লীগ স্বাধীন দেশকে পরাধীন রাষ্ট্রে পরিণত করতে চেয়েছিল। ভারত বাংলাদেশকে সেবাদাস সরকার প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে শোষণ করেছে, কখনও গোপন চুক্তির মাধ্যমে, আবার কখনও লুটপাট করে। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আর অল্প কিছুদিন থাকলেই দেশকে দেউলিয়া ঘোষণা করত, এবং এর সুযোগে ভারত বাংলাদেশকে তাদের অঙ্গরাজ্যে পরিণত করত।"


তিনি আরও অভিযোগ করেন, "আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকুক বা ক্ষমতার বাইরে, তারা সমানভাবে মানুষ হত্যা করে। ২৮ অক্টোবর শেখ হাসিনার নির্দেশে লগি-বৈঠা দিয়ে মানুষ হত্যা করা হয়েছে, এবং এখন ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা চোর অপবাদে মানুষ হত্যা করে দেশের শান্তি-শৃঙ্খলা বিনষ্ট করছে। সম্প্রতি ঘটে যাওয়া হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে গ্রেফতার হওয়া পাঁচজনের মধ্যে চারজনই ছাত্রলীগের সদস্য। সকল হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু বিচার করতে হবে।"

Post a Comment

0 Comments