একসময় যে বই ছিল নিষিদ্ধ, এখন সেটাই নীলক্ষেতে বেস্টসেলার।
জুলাই বিপ্লব-পরবর্তী নীলক্ষেতের কথা বলছি। যে সব ইতিহাস-ভিত্তিক বই একসময় ছিল নিষিদ্ধ বা চাপা পড়ে ছিল অন্ধকারে, সেগুলোই এখন বেস্টসেলার। নীলক্ষেতের প্রতিটি দোকানে এসব বই পাওয়া যাচ্ছে, বিক্রি হচ্ছে হরহামেশা। শুধু নীলক্ষেতেই নয়, অনলাইন বই বিক্রির প্ল্যাটফর্মগুলোতেও একই চিত্র। দেশের নানা প্রান্ত থেকে আসছে অর্ডার, প্রতিদিন হাজার হাজার বই পৌঁছে যাচ্ছে সারাদেশে।
ff f
আবুল হাসনাত (ছদ্মনাম) নীলক্ষেতের বাবুপুরা লেনে দীর্ঘ এক যুগ ধরে বইয়ের ব্যবসা করছেন। আগে নিষিদ্ধ বই গোপনে বিক্রি করতেন, কিন্তু এখন সেই নিষিদ্ধ বইগুলোই প্রকাশ্যে বিক্রি করছেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্ট্রাল লাইব্রেরির সামনে ইতিহাসের বইয়ের বিক্রি এখন বেড়েছে। নিষিদ্ধ বই থেকে শুরু করে "আমার ফাঁসি চাই," মেজর ডালিমের বইসহ আরও বেশ কিছু বিতর্কিত গ্রন্থ এখন বেস্টসেলার।
অনেক বই আগের তুলনায় বেশি জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। এদের মধ্যে রয়েছে শারমিন আহমেদের "নেতা ও পিতা," পিনাকী ভট্টাচার্যের "স্বাধীনতা উত্তর বাংলাদেশ," এ কে খন্দকারের "১৯৭১: ভেতরে বাইরে," এবং আহমেদ মুসার "ইতিহাসের কাঠগড়ায় আওয়ামী লীগ।"
f ff
বই বিক্রির এই নতুন জোয়ারকে অনেকেই ইতিহাসের প্রতি মানুষের নতুন আগ্রহ হিসেবে দেখছেন। বই বিক্রেতারা বলছেন, নিষিদ্ধ বই এখন সর্বত্র সহজলভ্য। নীলক্ষেতের বিক্রেতারা পাইরেসি বই কম দামে বিক্রি করে লাভ করছেন, কিন্তু তাদের বক্তব্য, পাঠকের চাহিদা মেটানোই তাদের মূল লক্ষ্য।
0 Comments