"শেখ হাসিনার ঘনিষ্ঠরা বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে রয়েছেন।"

"শেখ হাসিনার ঘনিষ্ঠরা বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে রয়েছেন।"

বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদিন ফারুক অভিযোগ করেছেন যে, শান্তিতে নোবেলজয়ী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে রাজনৈতিকভাবে হেয়-প্রতিপন্ন করার ষড়যন্ত্র চলছে।

তিনি বলেন, "এখনো শেখ হাসিনার ঘনিষ্ঠরা বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব নিয়ে আছেন। গুলি করার নির্দেশদাতা, বিএনপি অফিস ভাঙার নেতৃত্বদানকারী মেহেদী, হারুন, বিপ্লবরা কোথায়? এখনো পুলিশের বিভিন্ন পদে শেখ হাসিনার লোকেরা বহাল আছেন। এদেরকে আইনের আওতায় না আনলে জনগণ কষ্ট পাবে এবং কথা বলবে। অনুগ্রহ করে এদের আইনের আওতায় নিয়ে আসুন।"

m mm

বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বাংলাদেশ ইয়ুথ ফোরাম আয়োজিত এক প্রতিবাদ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

জয়নুল আবদিন ফারুক আরও বলেন, "খুনি হাসিনার ক্ষমা নেই। তাকে বাংলাদেশে এনে বিচারের আওতায় আনতে হবে। যারা শেখ হাসিনার নির্দেশে গুলি করেছেন, তাদেরও আইনের আওতায় আনা প্রয়োজন। তা না হলে যারা আত্মাহুতি দিয়েছেন, তারা কবরে থেকেও শান্তি পাবে না।"

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে সময়ক্ষেপণ না করার অনুরোধ জানিয়ে তিনি বলেন, "জনগণের প্রত্যাশা পূরণ করতে হবে। যারা সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলো ধ্বংস করেছে, বিচারবিভাগকে নিয়ন্ত্রণ করেছে, এবং নির্বাচন কমিশনকে ধ্বংস করেছে, তাদেরকে আইনের আওতায় আনতে হবে।"

m mm

তিনি আরও বলেন, "শেখ হাসিনার আমলে নিরীহ মানুষকে হত্যা করা হয়েছে, এবং আমার নেত্রীকে বিনা কারণে সাজা দেওয়া হয়েছে। আমরা শেখ হাসিনার বিচার দেখতে চাই। তাকে ভারত থেকে ফেরত আনতেই হবে।"

এছাড়াও, তিনি অভিযোগ করেন যে আবু সাঈদের হত্যার রক্ত না শুকাতেই ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে, যা দেশের অশান্তি বাড়াতে পারে।

প্রতিবাদ সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ইয়ুথ ফোরামের সভাপতি মুহাম্মদ সাইদুর রহমান, জাতীয় পার্টির মহাসচিব আহসান হাবিব লিংকন, বিএনপির প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক বেগম রাশেদা বেগম হিরা, এবং রোটারিয়ান এম নাজমুল হাসান প্রমুখ।
 

Post a Comment

0 Comments