ইউনিয়ন ব্যাংকের এমডি মোকাম্মেল হক চৌধুরীও পিকে হালদারের পথেই হাঁটছেন।
প্রশান্ত কুমার (পি কে) হালদারের মতোই একই কৌশলে ইউনিয়ন ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) এ বি এম মোকাম্মেল হক চৌধুরী বেশ কয়েকটি আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে অর্থ আত্মসাৎ করেছেন। পি কে হালদার ও মোকাম্মেল হক উভয়েই বিতর্কিত এস আলম গ্রুপের মালিকানাধীন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা ছিলেন। এ পদে থেকে ব্যক্তিগত ও অন্য ব্যাংক থেকে নামে-বেনামে ঋণ বের করে নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে তাঁদের বিরুদ্ধে। তাঁরা উভয়েই নির্দিষ্ট সময়ে গা ঢাকা দিয়েছেন।
এস আলম গ্রুপের কর্ণধার সাইফুল আলম, প্রধানমন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত ছিলেন। তাঁর ঘনিষ্ঠ ছিলেন পি কে হালদারও, যিনি ২০১৯ সালে ভারত পালিয়ে যান এবং এখন ভারতের কারাগারে আটক আছেন। সরকার পরিবর্তনের পর মোকাম্মেল হকও পালানোর চেষ্টা করেন, তবে ব্যর্থ হয়ে আত্মগোপনে চলে যান।
ইউনিয়ন ব্যাংকের এমডি পদে অনুপস্থিত মোকাম্মেল হকের স্থলাভিষিক্ত করা হয়েছে ডিএমডি শফিউদ্দিন আহমেদকে। মোকাম্মেল হকের ব্যবহৃত দুটি গাড়ি বনানীর বাসায় পড়ে রয়েছে, যা ব্যাংকের মালিকানাধীন। ব্যাংক এখন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সহায়তায় গাড়িগুলো উদ্ধারের চেষ্টা করছে।
এক ব্যাংক কর্মকর্তা জানান, সোমবার থেকে ইউনিয়ন ব্যাংক নতুন পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছে। ঋণসংক্রান্ত অনিয়মের তথ্য প্রকাশ এবং জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বাংলাদেশ ব্যাংক অনুসন্ধান করছে, এবং ব্যাংকের তারল্য সংকট সমাধানে পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।
ff f
একটি সূত্র জানায়, মোকাম্মেল হক সম্প্রতি দেশ ছাড়ার চেষ্টা করেন এবং বিভিন্ন জনের সঙ্গে আলোচনা করেন। তবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাঁকে নজরদারিতে রেখেছে, এবং তাঁকে দেশ ছাড়তে দেওয়া হচ্ছে না। ইউনিয়ন ব্যাংকের হিসাব থেকে অস্বাভাবিক টাকা উত্তোলনের খবর প্রকাশের পর থেকেই তাঁকে নজরদারিতে রাখা হয়।
উল্লেখ্য, ইউনিয়ন ব্যাংকের প্রায় ৬৫% ঋণ এস আলম গ্রুপের নিয়ন্ত্রণে এবং এর বিপরীতে কোনো জামানত নেই, যা ব্যাংকটির আর্থিক অবস্থাকে সংকটে ফেলেছে। আগস্টে পরিচালনা পর্ষদ পুনর্গঠন করে ব্যাংকটিতে এস আলমের প্রভাব কমানোর চেষ্টা করা হয়, তবে পরিস্থিতি এখনও স্থিতিশীল হয়নি।
0 Comments