ট্রাইব্যুনালে জামায়াত নেতাদের বিচার ছিল সম্পূর্ণভাবে প্রহসনমূলক ও মিথ্যা।
দেশের খ্যাতনামা আইনজীবী ব্যারিস্টার আবদুর রাজ্জাক বলেছেন, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে জামায়াত নেতাদের বিরুদ্ধে বিচার ছিল পুরোপুরি সাজানো ও মিথ্যা। সরকারের নির্বাহী কর্তৃপক্ষের নির্দেশনায় তাদের বিরুদ্ধে মৃত্যুদণ্ডের রায় দেওয়া হয়েছে। ন্যায়বিচারের জন্য এই বিচার প্রক্রিয়ার পুনর্বিচার হওয়া জরুরি, যাতে তাদের স্বজনরা জানতে পারেন যে, তারা নিরপরাধ ছিলেন।
এছাড়া, ব্যারিস্টার রাজ্জাক মনে করেন, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে শেখ হাসিনার অপরাধের বিচার স্বচ্ছভাবে সম্ভব। দেশের আইন যদি সঠিকভাবে প্রয়োগ হয়, তবে এই বিচার আন্তর্জাতিকভাবে গ্রহণযোগ্য হবে।
ff f
সম্প্রতি কয়েকদিন আগে প্রবাস জীবন শেষে দেশে ফিরে আসেন ব্যারিস্টার রাজ্জাক। নয়া দিগন্তের পাঠকদের জন্য তার সাক্ষাৎকার নেন পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সালাহউদ্দিন মুহাম্মদ বাবর এবং মাল্টিমিডিয়া সম্পাদক যুবরাজ ফয়সল। সাক্ষাৎকারের বিস্তারিত অংশ নিচে দেওয়া হলো।
প্রশ্ন: প্রায় ১১ বছর বিদেশে ছিলেন। দেশে ফিরে প্রথম কী লক্ষ্য নিয়ে কাজ শুরু করবেন?
ব্যারিস্টার আবদুর রাজ্জাক: ২০১৩ সালে আমি লন্ডনে গিয়েছিলাম। তখন বিরোধী দলের নির্বাচন বয়কটের কারণে দেশ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছিলাম। লন্ডনে গিয়ে আমি কিছু কূটনৈতিক কাজ করেছি এবং পাঁচ বছর পর আইনি পেশায় ফিরে এসেছি। সেখানে আমি শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে এক ধরণের ছায়াযুদ্ধ শুরু করেছিলাম। জামায়াত এবং বিএনপির পক্ষে মামলা লড়েছি, যেখানে ৬০ শতাংশ মামলায় জয়ী হয়েছি।
প্রশ্ন: ২০২৪ সালের জুলাই আন্দোলনকে আপনি কীভাবে দেখেন?
ব্যারিস্টার আবদুর রাজ্জাক: ২৪ এর জুলাই আন্দোলনকে বিপ্লব বলা যেতে পারে। এটি ছাত্রদের নেতৃত্বে ছিল এবং সাধারণ জনগণ তাদের পাশে দাঁড়িয়েছে। এই আন্দোলনকে ফ্রেঞ্চ রেভ্যুলুশনের সঙ্গে তুলনা করা যেতে পারে। ছাত্ররা সাহসী হয়ে সরকারকে চ্যালেঞ্জ করেছে এবং এটি তরুণদের মধ্যে নতুন শক্তির সঞ্চার করেছে।
প্রশ্ন: জামায়াতের নেতাদের বিচার প্রক্রিয়া নিয়ে আপনার মতামত কী?
f ff
ব্যারিস্টার আবদুর রাজ্জাক: জামায়াত নেতাদের বিচার ছিল রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং মিথ্যা। আন্তর্জাতিক বিচারব্যবস্থাও এর সাথে সম্পর্কিত ছিল এবং এই বিচার ছিল এক ধরনের প্রহসন। ২০১২ সালে বিখ্যাত ব্রিটিশ ম্যাগাজিন 'ইকোনমিস্ট' এই বিচারব্যবস্থার বিরুদ্ধে প্রতিবেদন প্রকাশ করে। আমি মনে করি, জামায়াত নেতাদের যদি স্বাধীনভাবে বিচার করা হতো, তারা নির্দোষ প্রমাণিত হতো।
এছাড়া, ব্যারিস্টার রাজ্জাক দাবি করেছেন যে, জামায়াত নেতাদের মৃত্যুদণ্ডের রায় রাজনৈতিক প্রভাবিত ছিল এবং এই বিষয়টির পুনর্বিচার হওয়া উচিত।
0 Comments