ছাত্রলীগ ও ছাত্রদলের মধ্যে কয়েক দফা সংঘর্ষে ১৪ জন আহত, পরিস্থিতি শান্ত করতে সেনাবাহিনী মোতায়েন
মুন্সিগঞ্জ পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটে দুপুরে পাঁচটি বিভাগের অষ্টম বর্ষের ব্যবহারিক ফাইনাল পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে আসেন শিক্ষার্থীরা। এ সময় কিছু ছাত্র-ছাত্রীকে নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের কর্মী হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। এর পরেই সাধারণ শিক্ষার্থী ও ছাত্রদল নেতাকর্মীরা পরীক্ষায় অংশ নেয়া ওই ছাত্রলীগ কর্মীদের বিরুদ্ধে আপত্তি জানালে, উভয় পক্ষের মধ্যে বাকবিতণ্ডা শুরু হয় এবং তা পরবর্তীতে সংঘর্ষে রূপ নেয়।
এই সংঘর্ষে ছাত্রলীগ ও ছাত্রদলের অন্তত ১৪ জন আহত হন, তাদের মধ্যে ১০ জন শিক্ষার্থী। গুরুতর আহত অবস্থায় এক ছাত্রদল কর্মীসহ দুজনকে চিকিৎসকের পরামর্শে ঢাকায় রেফার করা হয়। এই সংঘর্ষের ঘটনা সদর উপজেলার মিরকাদিমে, ইন্সটিটিউটের পরীক্ষা চলাকালীন বেলা সাড়ে ১২টার দিকে ঘটে।
পুলিশ ও আহত শিক্ষার্থীদের জানান, ছাত্রলীগের কর্মীরা বহিরাগত লোকজন নিয়ে এসে ছাত্রদল কর্মীদের ওপর হামলা চালায়, এবং পরে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। সংঘর্ষে ধারালো অস্ত্রের ব্যবহারে বেশ কয়েকজন গুরুতর আহত হন। এরপর পুলিশ ও সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। আহতদের মুন্সিগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হলে দুজনকে ঢাকায় রেফার করা হয়, বাকি আহতদের সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়।
f ff
এ ঘটনায় ৯ শিক্ষার্থীকে আটক করা হয়েছে, যারা ঘটনার সঙ্গে জড়িত বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। মুন্সিগঞ্জ সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সাইফুল ইসলাম জানান, সিসিটিভি ফুটেজ দেখে ঘটনার তদন্ত করা হবে এবং জড়িতদের আইনের আওতায় আনা হবে।
0 Comments