ড. ইউনূস
বাংলাদেশের কাছে বিশ্বের পরিবর্তন ঘটানোর মতো অসাধারণ ধারণা রয়েছে।
বাংলাদেশের কাছে বিশ্বের পরিবর্তন ঘটানোর মতো অসাধারণ ধারণা রয়েছে, এমন মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে ব্যবসার জন্য চমৎকার সুযোগ রয়েছে। এই ব্যবসা শুধু বাংলাদেশের জন্য নয়, সারা বিশ্বের জন্য সম্ভাবনা তৈরি করতে পারে। এক সময় ক্ষুদ্রঋণ বাংলাদেশের এক ছোট গ্রামে শুরু হলেও এখন এটি বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ ব্যবসায় পরিণত হয়েছে।
আজ বুধবার রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ বিনিয়োগ সম্মেলন-২০২৫ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
বক্তব্যের এক পর্যায়ে ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধের কথা বলতে গিয়ে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন প্রধান উপদেষ্টা। কিছু সময় তিনি চুপ হয়ে যান।
ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, "বিশ্ব পরিবর্তন করতে চাইলে ব্যবসাই সবচেয়ে শক্তিশালী কাঠামো।" তিনি আরও বলেন, "সবাই একসঙ্গে উপার্জন করে মানুষের জীবন পরিবর্তন করাটা এক দুর্দান্ত অভিজ্ঞতা। আমরা কার্বন নিঃসরণ বন্ধ করে নতুন সভ্যতা গড়তে পারি, কারণ বর্তমান সভ্যতা আত্মবিধ্বংসী।"
তিনি তরুণ প্রজন্মের উদ্দেশে বলেন, তারা সম্মিলিতভাবে পৃথিবীকে বদলে দেবে এবং সরকারের অপেক্ষায় বসে থাকবে না। তাদের এখন থেকেই সেই নতুন বিশ্ব গড়তে উদ্যোগী হতে হবে। বাংলাদেশে ব্যবসা করা মানে শুধু এই দেশে বিনিয়োগ নয়, বরং এটি বিশ্বব্যাপী সামাজিক ব্যবসার অংশ হওয়া।
প্রধান উপদেষ্টা আরও বলেন, "দরিদ্র জনগণের উন্নতির জন্য একটি কাঠামো তৈরি করেই দারিদ্র্য দূর করা সম্ভব। আর সামাজিক ব্যবসার আদর্শ স্থল হিসেবে বাংলাদেশ একটি আদর্শ জায়গা।"
বাংলাদেশ বিনিয়োগ বোর্ড (বিডা) আয়োজিত এই চার দিনব্যাপী বিনিয়োগ সম্মেলন গত ৭ এপ্রিল শুরু হলেও আজ প্রধান উপদেষ্টা আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন ঘোষণা করেছেন।
fff
অনুষ্ঠানের পূর্বে, প্রধান উপদেষ্টা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে বিনিয়োগে অবদানের জন্য চার ক্যাটাগরিতে পুরস্কৃত করেন। পুরস্কৃত প্রতিষ্ঠানগুলো হলো: ওয়ালটন (দেশী বিনিয়োগকারী), বিকাশ (বিদেশী বিনিয়োগকারী), স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস ও ফেব্রিকস। এছাড়া, বিশেষ ক্যাটাগরিতে কোরিয়ান এক্সপোর্ট প্রসেসিং জোনের চেয়ারম্যান কিহাক সাং-কে সম্মানসূচক নাগরিকত্ব প্রদান করা হয়।
0 Comments