"ইসলামী ব্যাংকের প্রায় ৫,৫০০ জন কর্মকর্তাকে রেগুলার (স্থায়ী) করার লক্ষ্যে নিয়োগ পরীক্ষা নিয়মিত করতে, অবশেষে আগামী ২৯ আগস্ট এই পরীক্ষার সময় নির্ধারণ করা হয়েছে।"

 "ইসলামী ব্যাংকের প্রায় ৫,৫০০ জন কর্মকর্তাকে রেগুলার (স্থায়ী) করার লক্ষ্যে নিয়োগ পরীক্ষা নিয়মিত করতে, অবশেষে আগামী ২৯ আগস্ট এই পরীক্ষার সময় নির্ধারণ করা হয়েছে।"


১৪ আগস্ট: ইসলামী ব্যাংকের সাড়ে ৫ হাজার কর্মকর্তাদের রেগুলার করতে অবশেষে আগামী ২৯ আগষ্ট নিয়োগ পরীক্ষার সময় ঘোষনা করা হয়েছে । আজ ব্যাংকের সকল শাখায় এ বিষয়ে সার্কুলার পাঠানো হয়েছে ।

প্রথম দফায় সিনিয়র আফিসার থেকে এসপিও পর্যন্ত পরীক্ষা নেয়া হবে। পরবর্তীধাপে বাকীদের কার্যক্রম শুরু হবে বলে নির্ভরযেগ্য সূত্রে জানা গেছে ।

আজ বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট) ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসি-এর পরিচালনা পরিষদের এক সভায় এ ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্দান্ত নেয়া হয় । ব্যাংকের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. এম জুবায়দুর রহমান এতে সভাপতিত্ব করেন।

উল্লেখ্য, দেশের শীর্ষ স্থানীয় এই ব্যাংকে চাকরি পেতে তাদেরকে কোনো প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় অংশ নিতে হয়নি। শুধু সিভি জমা দিয়ে মিলেছে চাকরি । এদের মধ্যে থেকে সাড়ে ৫ হাজার জনকে পর্যায়ক্রমে নিয়োগ পরীক্ষা নেয়া হবে।

কোন ধরনের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি, প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষা ও সনদ যাচাই ছাড়াই চট্টগ্রামের একটি এলাকার সাড়ে ১১ হাজার ব্যক্তিদের নিয়োগ দেয়া হয় ইসলামী বাংকেই ।

ফ্যাসিষ্ট সরকার পালিয়ে যাবার পর ১২ মাস পরেও এ বিষয়ে কোন পদক্ষেপ নিতে ব্যর্থ হয়েছে ইসলামী ব্যাংক । অবশেষে ব্যাংকের স্বচ্ছতা ,জবাবদীহিতা নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশে সম্প্রতি পরীক্ষার এই সিদ্দান্ত নেয়া হয় বলে ব্যাংকের সাথে সংশ্লিষ্ট একটি সুত্র জানায় ।

অপর একটি সুত্র জানায়, গত বছরের আগস্টে সরকার পরিবর্তনের পর বেসরকারি ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড, আল–আরাফাহ্‌ ইসলামী ব্যাংক, গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক, ইউনিয়ন ব্যাংক ও ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক থেকে প্রায় সাত হাজার কর্মকর্তাকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। এর অধিকাংশই চট্টগ্রামের একটি উপজেলার বাসিন্দা ।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ফজলে কবির ও একটি গোয়েন্দা সংস্থার সহায়তায় ২০১৭ সালের ৫ জানুয়ারি ইসলামী ব্যাংক দখল করে এস আলম গ্রুপ। বিভিন্ন উপায়ে শুধু এই ব্যাংক থেকে তারা ৯১ হাজার কোটি টাকা বের করে নেয়ার তথ্য উঠে এসেছে ব্যাংকের নিরীক্ষায়। এস আলম ইসলামী ব্যাংক দখলে নেয়ার পর ব্যাংকটিতে প্রভাবশালী হয়ে উঠেন সাবেক এমডি মনিরুল মওলা। দ্রুততার সঙ্গে তাকে পদোন্নতি দিয়ে প্রথমে অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক, পরে ২০২০ সালের ডিসেম্বরে এমডি পদে নিয়োগ দেয়া হয়।

গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর ব্যাংকটির পর্ষদের বেশির ভাগ সদস্য ও অধিকাংশ ডিএমডি পলাতক অবস্থায় আত্মগোপনে চলে যান। অদৃশ্য কারণে মনিরুল মওলা বহাল তবিয়তে ছিলেন।

ইসলামী ব্যাংকের একজন স্বতন্ত্র পরিচালক জানান, নতুন পর্ষদ দায়িত্ব নেয়ার পর থেকেই মনিরুল মওলাকে অপসারণের দাবি ছিল। তবে আমরা বহিঃনিরীক্ষকের অডিট রিপোর্টের জন্য অপেক্ষা করছিলাম। অডিট রিপোর্টে এস আলম গ্রুপের ঋণ জালিয়াতি এবং নাবিল গ্রুপের ১৩ হাজার ৬৪৫ কোটি টাকার জালিয়াতিসহ বিভিন্ন অনিয়মে তার সম্পৃক্ত পাওয়া গেছে।

Post a Comment

0 Comments