শেখ হাসিনাকে ফেরত পাঠানোর প্রশ্নকে ‘কল্পনাপ্রসূত’ বলে অভিহিত করেছে নয়াদিল্লি।

 শেখ হাসিনাকে ফেরত পাঠানোর প্রশ্নকে ‘কল্পনাপ্রসূত’ বলে অভিহিত করেছে নয়াদিল্লি।


 ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়ালকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল, শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানোর অনুরোধ করা হলে ভারত কী প্রতিক্রিয়া জানাবে। শুক্রবার (৩০ আগস্ট) ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাপ্তাহিক মিডিয়া ব্রিফিংয়ে এই প্রশ্ন করা হলেও জয়সওয়াল সরাসরি কোনো উত্তর দেননি। তিনি বলেছেন, এই ধরনের প্রশ্ন অনুমাননির্ভর, এবং অনুমাননির্ভর প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার কোনো প্রথা নেই।

রণধীর জয়সওয়াল আরও বলেন, শেখ হাসিনা গত ৫ আগস্ট সংক্ষিপ্ত নোটিশে ভারতে প্রবেশের অনুমতি চেয়েছিলেন। তাকে ফেরত পাঠানোর প্রশ্নটি সম্পূর্ণ কল্পনাপ্রসূত।


গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণআন্দোলনের মুখে প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে ভারতে চলে যান এবং তখন থেকেই তিনি সেখানেই অবস্থান করছেন। এরই মধ্যে ড. মোহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার শপথ নিয়েছে এবং সম্প্রতি শেখ হাসিনার কূটনৈতিক পাসপোর্ট বাতিল করেছে। তবে আইনগতভাবে শেখ হাসিনা ৪৫ দিন ভারতে থাকার অনুমতি পেয়েছেন এবং সেই সময়ের মধ্যে তিনি তিন সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে সেখানে অবস্থান করছেন।


বাংলাদেশে ভারতের দ্বিপাক্ষিক উন্নয়ন প্রকল্পের ভবিষ্যৎ সম্পর্কে এক প্রশ্নের জবাবে রণধীর জয়সওয়াল বলেন, পরিস্থিতি স্থিতিশীল হলেই বাংলাদেশিদের সব ধরনের ভিসা দেওয়ার প্রক্রিয়া পুনরায় শুরু হবে।

ff f

ঢাকার ইন্দিরা গান্ধী কালচারাল সেন্টারে হামলার বিষয়ে তিনি বলেন, বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষ আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় যথাসাধ্য চেষ্টা করেছে। অস্থিরতা শেষ হলে উন্নয়ন সহযোগিতা পুনরায় শুরু হওয়ার ব্যাপারে আমরা আশাবাদী।


তিনি আরও উল্লেখ করেন, বর্তমানে বাংলাদেশিদের শুধুমাত্র মেডিকেল ভিসার মতো জরুরি ক্ষেত্রে ভিসা দেওয়া হচ্ছে। বাংলাদেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে অন্যান্য ক্যাটাগরির ভিসা দেওয়া আবারও শুরু হবে।

Post a Comment

0 Comments