"কোনো কোনো ব্যাংকে টাকার অভাব, আবার কিছু ব্যাংকে ভল্ট উপচে পড়ছে।"

 "কোনো কোনো ব্যাংকে টাকার অভাব, আবার কিছু ব্যাংকে ভল্ট উপচে পড়ছে।"


সমকালের প্রথম পৃষ্ঠার খবরে বলা হয়েছে, "কোনো ব্যাংকে টাকা নেই, কোথাও উপচে পড়ছে ভল্ট।"


প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর বর্তমানে দুর্বল ব্যাংক থেকে টাকা তুলে নিরাপদ ও ভালো ব্যাংকে জমা রাখছে মানুষ। অনেক ব্যাংক এখন বিশেষ ধার না পাওয়ায় আমানতকারীদের টাকা ফিরিয়ে দিচ্ছে।

তবে প্রতিদিন সর্বোচ্চ তিন লাখ টাকা উত্তোলনের সীমাবদ্ধতার কারণে এসব ব্যাংকের প্রকৃত অবস্থা বোঝা যাচ্ছে না। এমন পরিস্থিতিতে কোনো কোনো ব্যাংকের ভল্ট খালি হলেও, কিছু ব্যাংকে টাকার অভাবে জায়গা সংকট দেখা দিচ্ছে।


অনেক শাখা সীমার বেশি টাকা জমা পড়ায় কেন্দ্রীয় ব্যাংকে তা জমা দিচ্ছে। গত পাঁচ দিনে বিভিন্ন ব্যাংক বাংলাদেশ ব্যাংকের ভল্টে ২,৫৯৩ কোটি টাকা জমা করেছে বলে জানা গেছে।


সংশ্লিষ্টরা জানান, প্রতিটি ব্যাংক শাখায় ভল্টের জন্য একটি নির্দিষ্ট সীমা নির্ধারিত থাকে। এই সীমার চেয়ে বেশি টাকা এলে তা কেন্দ্রীয় ব্যাংক বা সোনালী ব্যাংকের প্রধান শাখায় জমা করতে হয়।


সরকার পতনের পর প্রথম কয়েকদিন নিয়মিত কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে টাকা উত্তোলন করছিল ব্যাংকগুলো। তবে গেল সপ্তাহের পাঁচ দিনে তারা যত টাকা উত্তোলন করেছে, জমা দিয়েছে তার চেয়ে বেশি।

fff

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, দুর্নীতিসহ বিভিন্ন উপায়ে অর্জিত অর্থ বিভিন্নভাবে অনেকেই বাড়িতে রেখে দিয়েছিলেন। নিরাপত্তার অভাব অনুভব করায় তারা সেই অর্থ ভালো ব্যাংকে জমা রাখছেন।


এছাড়া সরকার পতনের পর থেকে বড় অঙ্কের নগদ টাকা তুলতে পারছে না মানুষ। নগদ উত্তোলনের সীমা বেঁধে দেওয়ায় অনেকেই বড় অঙ্কের আমানত তুলতে পারছেন না।

Post a Comment

0 Comments