প্রশাসনের নিয়ন্ত্রণ হাসিনা-অনুগত আমলা ও কর্মকর্তাদের হাতে ঢাকার শাসন দিল্লির প্রভাবাধীন!

প্রশাসনের নিয়ন্ত্রণ হাসিনা-অনুগত আমলা ও কর্মকর্তাদের হাতে  
ঢাকার শাসন দিল্লির প্রভাবাধীন!


 সুস্বাদু রান্না একটি মানসিক ও শারীরিক সমন্বয়ের ফল (মেরি বেরি)। একজন রাঁধুনির মানসিক সুস্থতা ও ইতিবাচক মনোভাব না থাকলে রান্না সুস্বাদু হতে পারে না, যত উন্নত উপকরণই ব্যবহার করা হোক না কেন। প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস জাতিসংঘের ৭৯তম অধিবেশনে অংশ নিলে অধিবেশন কার্যত ইউনূসময় হয়ে ওঠে। তাঁর নেতৃত্বে বাংলাদেশের অর্থনীতিকে সচল করতে আন্তর্জাতিক মহল এগিয়ে এসেছে। যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্বের প্রভাবশালী দেশগুলো সাহায্য করছে। তবে যতই সহায়তা আসুক, যদি রাঁধুনি (প্রশাসন) অনুগত না হয়, রান্না (দেশের কার্যক্রম) সুফল দেবে না।

m mm

বাংলাদেশের প্রশাসনেও একই অবস্থা। শেখ হাসিনার অনুগত আমলারা বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে বসে আছেন, যা ড. ইউনূসের সংস্কার প্রচেষ্টায় প্রভাব ফেলছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অন্তর্বর্তী সরকার যতই উদ্যোগ নিক, দিল্লির প্রভাবাধীন আমলারা সেই উদ্যোগকে পিছিয়ে দিচ্ছে। হাসিনা দিল্লিতে বসে একের পর এক বিশৃঙ্খলার পরিকল্পনা করছেন, আর তাঁর অনুগত কর্মকর্তারা তা বাস্তবায়ন করছেন। প্রশাসনের ওপর থেকে নিচ পর্যন্ত এই প্রভাব বিস্তৃত। শেখ হাসিনার অনুগতদের কারণে দেশের প্রশাসন কার্যত অচল হয়ে পড়ছে। 

m mm

যদি অন্তর্বর্তী সরকার সফল হতে চায়, তবে তাদের শেখ হাসিনার অনুগত আমলাদের সরিয়ে দেশের স্বার্থে কাজ করা কর্মকর্তাদের বসাতে হবে। এমনকি প্রশাসনে রদবদল করে তার নতুন কাঠামো দাঁড় করাতে হবে। ২০০১ সালে বিচারপতি লতিফুর রহমান যেমন পরিবর্তন এনে একটি সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজন করতে পেরেছিলেন, তেমনি দৃঢ়তা দেখাতে হবে। 

m mm

অবস্থা এমন দাঁড়িয়েছে যে, ছাত্রলীগের কোটা থেকে নিয়োগ পাওয়া অনেক আমলা ও কর্মকর্তার উপস্থিতিতে প্রশাসনে কোনো গতি ফিরছে না। তাদের পদচ্যুত না করে কিংবা বিতর্কিত কর্মকর্তাদের সরিয়ে না দিলে ড. ইউনূসের নেতৃত্বে সরকারের কার্যক্রম কার্যত সফল হবে না।

Post a Comment

0 Comments