সৌদি আরব কি তাহলে ইসরায়েলের কাছে নতি স্বীকার করেছে?

 সৌদি আরব কি তাহলে ইসরায়েলের কাছে নতি স্বীকার করেছে?


মধ্যপ্রাচ্যের রাজনীতি এখনও ফিলিস্তিন ইস্যুকে কেন্দ্র করে আবর্তিত হচ্ছে। গাজায় ইসরায়েলের আগ্রাসন শুরুর পর থেকে অঞ্চলটিতে উত্তেজনা ক্রমশ বৃদ্ধি পেয়েছে। ফিলিস্তিন আশা করেছিল প্রতিবেশী দেশগুলো পাশে দাঁড়াবে, কিন্তু ক্রমশই একঘরে হয়ে পড়ছে তারা। এদিকে, কয়েকটি মুসলিম দেশ ইতোমধ্যেই দীর্ঘদিনের ফিলিস্তিন সমস্যাকে উপেক্ষা করে ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক গড়েছে।


f ff


যদিও সৌদি আরব এখনো পর্যন্ত ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন করেনি, সাম্প্রতিক কিছু ঘটনা এবং যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের মন্তব্য এই সম্ভাবনা উসকে দিচ্ছে। অনেকেই বলছেন, সৌদি আরব হয়তো ইসরায়েলের কাছে নিজেকে বিকিয়ে দিয়েছে।


কয়েক বছর আগে, সৌদি আরবের মিত্র সংযুক্ত আরব আমিরাতসহ বেশ কিছু মুসলিম দেশ ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন করে। সেই সময় সৌদির দিক থেকেও সম্পর্কের ইঙ্গিত মিলেছিল, তবে রিয়াদ তখন ঘোষণা দেয় যে, স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার আগ পর্যন্ত তারা ইসরায়েলের সঙ্গে বন্ধুত্ব করবে না।


গাজার যুদ্ধ বন্ধে সৌদি আরবের তেমন কোনো সক্রিয় ভূমিকা দেখা যায়নি। এর মধ্যেই মার্কিন সংবাদমাধ্যম দ্য আটলান্টিকের একটি প্রতিবেদন নতুন বিতর্ক সৃষ্টি করে, যেখানে দাবি করা হয় যে, সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান ফিলিস্তিন ইস্যুতে তেমন আগ্রহী নন। এ তথ্য এসেছে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেনের সঙ্গে তার বৈঠক থেকে, যেখানে যুবরাজ বলেছেন, সৌদি জনগণের ৭০ শতাংশই ফিলিস্তিন ইস্যু সম্পর্কে কম জানে, এবং এ সংঘাতের মাধ্যমে তারা প্রথমবার এটি সম্পর্কে সচেতন হচ্ছে। যদিও যুবরাজ ব্যক্তিগতভাবে এতে আগ্রহী নন, তার দেশের জনগণ আগ্রহী।


f ff


এ প্রতিবেদন প্রকাশের পর রিয়াদ থেকে তীব্র প্রতিক্রিয়া আসে। এক সৌদি কর্মকর্তা জানিয়েছেন, দ্য আটলান্টিকের প্রতিবেদনটি অসত্য এবং যুবরাজ বারবার প্রকাশ্যে বলেছেন, স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার আগ পর্যন্ত সৌদি আরব ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন করবে না।

Post a Comment

0 Comments