সুখী সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গঠন করতে পারলে শহিদদের রক্তের মূল্যায়ন হবে -অধ্যাপক মুজিবুর রহমান

 সুখী সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গঠন করতে পারলে শহিদদের রক্তের মূল্যায়ন হবে -অধ্যাপক মুজিবুর রহমান

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নায়েবে আমীর ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মুজিবুর রহমান বলেছেন, "সুখী ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গঠন করতে পারলে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে শহীদদের রক্তের যথাযথ মূল্যায়ন হবে।" তিনি এ কথা বলেন আজ ঢাকা মহানগরী দক্ষিণ জামায়াতের উদ্যোগে আয়োজিত মজলিসে শুরার সাধারণ অধিবেশনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে।

তিনি আরও বলেন, জামায়াতে ইসলামী সেই সুখী ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গঠনে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। অতীতে বিভিন্ন সরকারের আমলে দেশের সম্পদ লুটপাট করে বিদেশে পাচার করা হয়েছে, কিন্তু জামায়াতের কোনো নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে এ ধরনের কোনো অভিযোগ নেই। জামায়াতের দুই মন্ত্রী তিনটি গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করলেও তাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তোলার সাহস কেউ করতে পারেনি, কারণ তারা একমাত্র আল্লাহকে ভয় করেন এবং জনগণের সম্পদকে রাষ্ট্রীয় সম্পদ হিসেবে মূল্যায়ন করেন।
ff f
সভায় সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের আমীর মো. নূরুল ইসলাম বুলবুল, এবং সঞ্চালনা করেন কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদের সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সেক্রেটারি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ। অধিবেশনে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জামায়াতে ইসলামী কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান।

প্রধান অতিথি মুজিবুর রহমান আরও বলেন, জামায়াতে ইসলামীর হাতে দেশ পরিচালনার দায়িত্ব দেওয়া হলে যাকাতভিত্তিক অর্থনীতি ব্যবস্থা গড়ে তোলা হবে। তিনি উল্লেখ করেন, সুদ কখনোই কল্যাণ বয়ে আনতে পারে না। যাকাতভিত্তিক কল্যাণ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা জামায়াতের অন্যতম লক্ষ্য।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান বলেন, ১৯৭১ সালে সকল শ্রেণি-পেশার মানুষ মুক্তির সংগ্রামে অংশ নিয়ে দেশ স্বাধীন করেছে, কিন্তু স্বাধীনতার পূর্ণ স্বপ্ন এখনও বাস্তবায়িত হয়নি। কোনো সরকারই গণতন্ত্রের চর্চা করেনি, বরং ক্ষমতা চিরস্থায়ী করতে নানা অপচেষ্টা চালিয়েছে। সাম্প্রতি ক বছরগুলোতে স্বৈরাচারী সরকার গণতান্ত্রিক দাবি আদায়ের পথে বাধা সৃষ্টি করেছে, তবে জনগণের আন্দোলন তাদের বিরুদ্ধে আরও তীব্র হয়েছে।
fff
সভাপতির বক্তব্যে মো. নূরুল ইসলাম বুলবুল বলেন, ন্যায়বিচার, আইনের শাসন ও মৌলিক মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে জামায়াতে ইসলামীর সংগ্রাম অব্যাহত থাকবে। তিনি দলীয় নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান, এই আন্দোলন চূড়ান্ত বিজয় অর্জিত না হওয়া পর্যন্ত সক্রিয় ভূমিকা রাখতে।


Post a Comment

0 Comments