২০২৪ সাল আবার ফিরে আসুক, এটা চায় না আওয়ামী লীগ।

 ২০২৪ সাল আবার ফিরে আসুক, এটা চায় না আওয়ামী লীগ।


৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হয় দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন, যেখানে শপথ নেন সংসদ সদস্যরা। গঠন করা হয় নতুন মন্ত্রিপরিষদ এবং হাতে নেওয়া হয় আগামীর পাঁচ বছরের পরিকল্পনা। তবে, সেই পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হওয়ার সুযোগ পাননি আওয়ামী লীগ, যারা টানা চতুর্থবারের মতো ক্ষমতায় এসেছিল। মাত্র সাত মাসের মাথায় ক্ষমতাচ্যুত হয় দলটি। গত ৫ আগস্ট, ছাত্র-জনতার বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের মুখে, তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতে পালিয়ে যান। দলটির নেতাকর্মীরা আত্মগোপনে চলে যান, কেউ কেউ গ্রেপ্তার হন, এবং বিত্তবান নেতারা বিদেশে চলে যান।

ff f

২৩ অক্টোবর, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন এবং জাতীয় নাগরিক কমিটির দাবির মুখে, বাংলাদেশ ছাত্রলীগকে ‘নিষিদ্ধ ও সন্ত্রাসী সংগঠন’ ঘোষণা করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। একই দাবির আওতায় আসে আওয়ামী লীগও। প্রায় ১৫ বছর ক্ষমতায় থাকার পর, দলটি আজ দেউলিয়ার পথে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, ২০২৪ সালের শুরুতে টানা চতুর্থবার রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আসা দলটি, এক বছরের মধ্যেই এমন করুণ পরিণতির মুখোমুখি— যা কেউ কল্পনাও করেনি। একেবারে কল্পনার মতো।

ff f

ভারতে অবস্থানরত আওয়ামী লীগের এক শীর্ষ নেতা বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, ‘২০২৪ সালের নির্বাচনে আমরা বিজয়ী হলেও, আমরা এক পরাজিত শক্তি। আজ আমরা দেশছাড়া। স্বাভাবিক জীবনে নেই আমরা। ২০২৪ সাল আমাদের জন্য অন্ধকার নিয়ে এসেছে। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতাকে হত্যার মাধ্যমে আওয়ামী লীগকে ধ্বংস করার চেষ্টা হয়েছিল, কিন্তু সেটা সম্ভব হয়নি। এবারও ২০২৪ সালে আমাদের ধ্বংসের চেষ্টা হয়েছে, কিন্তু তারা সফল হবে না। আমরা চাই না ২০২৪ আর ফিরে আসুক।’

Post a Comment

0 Comments